-” মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব” (কোর-আন) এই কথা যেন এখন কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ,আমাদের অমানবিক আচরণ, জুলুম, জাহিলিয়াতি এমন পৈশাচিক পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে আমরা আর নিজেদের আশরাফুল মাখলুকাত হলেও বলতে পারিনা,লজ্জা হয় আমাদের কর্মকাণ্ডের কারনে।
আজ সকালে(১৩ই মে) ফেইজবুকে স্ক্রল কররে বিভিন্ন স্টেটাস, পোস্ট, ছবি,ভিডিও দেখতেছিলাম হঠাৎ এক প্রবাসীর ফেইজবুক পোস্ট দেখে চোখ আটকে গেলো,তিনি সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে চেষ্টা করছেন আদতে সাংবাদিকতার ৫ক ই তিনি জানেন বলে মনে হয় না।
আসল কথায় আসি তার পোস্টে দেখলাম মানুষের বর্বরতার এক নমুনা।
মামুষে মানুষে শত্রুতা থাকতে পারে কিন্তু সেই শত্রুতা গিয়ে ফলদায়ক গাছের সাথে এমন কাজ সত্যি মানসিক ভাবে মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে।দেখলাম উপজেলার পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের কৃষক ইসমাইল হোসেনের বাগানের বিভিন্ন জাতের ফল,সবজির গাছ ব্যাক্তিগত শত্রুতার কারনে রাতের আঁধারে কে বা কারা কেটে ফেলেছে।
পৈশাচিকতা কি পর্যায়ে পৌঁছালে মানুষের দ্বারা এই কাজ করা সম্ভব?
ইসলামে অপ্রয়োজনে বৃক্ষ নিধন করাকে সম্পূর্ণরূপে নিষেধ করেছেন
পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন,কৃষকের ফসল পরিপক্ব হওয়ার আগেই শত্রুতা করে গাছ কর্তন এসব যেন নিত্তনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে,এসবের প্রতিকার প্রয়োজন, হোক সেটা দেশীয় আইন, ধর্মীয় শাষণ বা সামাজিক আন্দোলন যেই করেই হোক এই পৈশাচিকতা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।